প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘রাষ্ট্রের শত্রু’ আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগোর বাড়িতে এফবিআইয়ের তল্লাশিরও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ৮ই আগস্ট এফবিআই ওই তল্লাশি চালায়। তারপর প্রথমবার জনসমুক্ষে এ ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে পেনসিভ্যানিয়ায় র্যালি করেন। সেখানেই বক্তব্যে এফবিআইয়ের অভিযানকে তিনি ন্যায়বিচারের প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, এর ফলে এমন এক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে, যা কেউ কখনো দেখেনি। আপনারা দেখেছেন ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতি বাস্তব হুমকি। এর চেয়ে প্রাণবন্ত উদাহরণ আর হতে পারে না।
ওই সময় আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রশাসন কিভাবে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রিপাবলিকান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফিলাডেলফিয়াতে বৃহস্পতিবার দেয়া বক্তব্যে তিনি রিপাবলিকানদের এভাবে সমালোচনা করেন, যারা ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আদর্শকে ধারণ করেছিলেন। একই সমাবেশে তিনি নিজের সমর্থকদের জাতির মর্যাদা রক্ষার জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এবং এফবিআই হোয়াইট হাউজের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে। তা সত্ত্বেও এফবিআই এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিয়ে ট্রাম্প সমালোচনা করে আক্রমণ করে কথা বলেন।
পেনসিলভ্যানিয়ার উইকিস-বারে শহরে ‘সেভ আমেরিকা’ শীর্ষক ওই সমাবেশে ট্রাম্পের সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সবচেয়ে জঘন্য, ঘৃণ্য এবং বিভক্তি সৃষ্টিকারী। এ সময় তিনি জো বাইডেন ইস্যুতে বলেন- তিনি হলেন রাষ্ট্রের একজন শত্রু। আপনারা কি সত্য জানতে চান। রাষ্ট্রের শত্রু রয়েছে তার মধ্যে। রিপাবলিকানরা, যারা মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন মুভমেন্ট করেন, তারা আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন না। তিনি আবারও দাবি করেন ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল জালিয়াতির। ওই নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে তিনি কোনো জালিয়াতির প্রমাণ এ পর্যন্ত দিতে পারেননি।
ট্রাম্প বলেন, আমরা তারা, যারা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এটা খুবই সাধারণ বিষয়। উগ্রপন্থি বাম থেকে গণতন্ত্রের জন্য বিপদ আসছে। ডানপন্থিদের পক্ষ থেকে নয়।