শেরপুর প্রতিনিধি : গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুন) থেকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের বন্যায় শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি নদী মহারশি, চেল্লাখালী ও ভোগাই উপচে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে নালিতাবাড়ী শহর ও বিভিন্ন অঞ্চলে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ভেসে গেছে আমন ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের। ফলে চরম জনদূর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে টানা ভারি বর্ষণ।
সেইসাথে মহারশি ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী দুটিতে নেমেছে পাহাড়ি ঢল। ভারি বর্ষণের ফলে বুধবার ভোররাত থেকেই নালিতাবাড়ী শহরের বেশকিছু এলাকা এবং উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী দুটির বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ উপচে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দুপুরের দিকে বালুঘাটা ও গোল্লারপাড় এলাকায় শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক উপচে চেল্লাখালী নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবেশ করতে শুরু করে।
একই সময়ে ভোগাই নদীর পানিও বিপদ সীমা অতিক্রম করে বাঁধ উপচে শহরের মধ্যবাজার, জেলখানা রোড, উত্তর গড়কান্দা, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের নিচপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বেগে প্রবেশ করতে শুরু করে। নালিতাবাড়ী-ঘাকপাড়া সড়ক, নালিতাবাড়ী-কাকরকান্দি সড়ক এবং শহরের মধ্যবাজার এলাকায় পাকা রাস্তা অতিক্রম করে পানি ঢুকছে বিভিন্ন মহল্লা ও বাসা-বাড়িতে। ঝিনাইগাতি শহর এবং এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে তীব্র ভাবে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় অনেকের ঘরে চুলা পর্যন্ত জ্বলছে না। কোন কোন স্থানে তলিয়ে গেছে খাবার পানির উৎস। বুধবার দিনের মধ্যে বৃষ্টি না কমলে এবং পাহাড়ি ঢল নিয়ন্ত্রণে না এলে গোটা উপজেলার মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে।