শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে হাতি হত্যায় মামলা হয়েছে। সোমবার ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ৩৬ ধারায় ঝিনাইগাতী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করেন রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম।
মামলায় উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে নুহু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামী করা হয়। এ পর্যন্ত এ জেলায় হাতি হত্যায় এটি দ্বিতীয় মামলা।
উল্লেখ্য গত ৫ মে শুক্রবার ভোরে কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া এলাকাং ধানক্ষেতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে একটি পুরুষ হাতির মৃত্যু ঘটে। এবং হাতির মরদেহটির গায়ে বৈদ্যুতিক তার জড়ানো এবং শরীরের পোড়া দাগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরল ইসলাম জানান, এজাহারনামী আসামী নুহু মিয়ার ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার ফলেই হাতিটির মৃত্যু ঘটেছে। তাই তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
এদিকে বন্য হাতির হাতে গত এক যুগে শতাধিক মানুষের প্রাণ গেলেও এবং অসংখ্য মানুষ আহত হলেও তাদের রক্ষায় কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। এছাড়াও প্রতি মৌসুমে একরের পর একর ফসলী জমি, ফলের বাগান, বাড়িঘর হাতির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হলেও এসব রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। মানুষের জানমাল রক্ষার ব্যবস্থা না করে উল্টো মানুষের সম্পাদ ও আত্মরক্ষার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে হাতি হত্যা মামলায় স্থানীয় জনগণ বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তার ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও একান্ত আলাপে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।