শেরপুরের শ্রীরবদী উপজেলায় জসিম মিয়া নামে এক কিশোর রিকশা-ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামের ধানক্ষেত থেকে জসিমের লাশ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে যাবার পর আর বাড়ি ফিরেনি জসিম। সে হাঁসধরা গ্রামের গোলাপজানের ছেলে। জসিম ভ্যান চালানোরা পাশাপাশি টেংগরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলো।
এদিকে গত বুধবার রাতে মাসুদ (৩৫) নামে একজন শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর বাজারে জসিমের ভ্যানটি বিক্রি করতে গেলে বাজারের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তার দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে জসিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাসুদের বাড়িও শ্রীবরদী উপজেলার বিলভরট গ্রামে।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক তদন্ত নাইম মো. নাহিদ হাসান জানান, দরিদ্র হওয়ার কারণে জসিম মিয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি রিকশা-ভ্যান চালাতো। গত মঙ্গলবার রাতে ভাড়ায় গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে। এদিকে বুধবার রাতে জসিমের ভ্যানটি বিক্রি করতে শহরের উত্তরবাজারে নিয়ে আসে মাসুদ। এ সময় লোকজন জসিমের ভ্যান চিনতে পারে। তারা মাসুদকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মাসুদকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে জসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, মাসুদ সহ আরো ৪/৫ জন মিলে জসিমের রিকশা-ভ্যানটি ভাড়া নেয়। এক পর্যায়ে তারা ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে জসিমকে প্রথমে শ^াসরোধ ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ওই ধানক্ষেতে তার লাশ ফেলে যায়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।