শেরপুরের ২টি পৃথক ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৪। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ দুজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোলাপ হোসেন (৪০) ও তিলক দাস (২৬)। দুজনেই ১৪ বছর একইসাথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। এরমধ্যে গোলাপ হোসেন ৯ বছর এবং তিলক দাস ৪ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
গোলাপ হোসেন ঝিনাইগাতী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ১৪ বছর ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী এক নাবালিকা শিশুকে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন গোলাপ হোসেন। এই মামলায় ২০২১ সালের ২৫ মে গোলাপ হোসেন আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হন। ঘটনা সংঘটনের পর থেকেই গোলাপ পলাতক ছিলেন। সাভারের আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ১৪।
এদিকে নকলা উপজেলার কিশোরী ধর্ষণ মামলার ১৪ বছর ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী তিলক দাসকে পলাতক থাকার ৪ বছর পর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব ১৪। গাজিপুর জেলার ভোগড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিলক দাস কলেজ পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার পর ব্যর্থ হন। প্রতিহিংসায় তিলক দাস ওই ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ২০১৯ সালের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে আদালত অপহরণের দায়ে ১৪ বছর ও ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ ব্যাপারের র্যাব ১৪ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি (সিপিসি) ১ এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আশিকুজ্জামান জানান, দুজন সাজাপ্রাপ্তই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তারা সাভার ও গাজিপুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নির্ণয় কারে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে স্ব-স্ব থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।