কুয়াশা ও উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে সিরাজগঞ্জে কনকনে শীতে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। তিন দিনেও সূর্যের দেখা না মেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়ক ও নৌ চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়ক, মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা পড়েছে। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। আগামী তিনদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকতে পারে।
সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্যা করতে হচ্ছে।