মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত আইলিন লাউবাচারের সফর শেষ হতে না হতেই দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের অনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ওই সফরের এজেণ্ডাও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের রাজনীতি এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে আগে থেকেই সফরটি নিয়ে আলোচনা চলছিল। বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগে ভারত সফর করবেন হিন্দি ভাষায় পারদর্শী চীনা বংশোদ্ভূত জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু।
ওয়াশিংটনের ঘোষণা এবং ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, স্টেট ডিপার্টমেন্টে এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বোঝাপড়ায় (নেগোসিয়েশনে) বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী শনিবার ভারত থেকে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। তার সফরে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময় ঘটবে।
স্মরণ করা যায়, সার্বজনীন মানবাধিকারের সুরক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস প্রায়শই বলেন, র্যাবের উপর থেকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জরুরি হচ্ছে মানবাধিকার রক্ষার জন্য সংস্থাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এ দুটো বিষয় নিশ্চিত হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আবেদন করা যাবে।
ঢাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড লু ১৫ই জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে (পৃথক) বৈঠক করবেন। একইদিনে আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও তার দেখা হতে পারে। এছাড়া, দূতাবাসের আয়োজনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি আলাদাভাবে কথা বলবেন-এটা প্রায় নিশ্চিত।