ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দসৈনিককে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গার্ড অব অনার দেয়া হয়। আজ সকাল ১১টায় সবার শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তোয়াব খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এসময় ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্যালুট জানানো হয়। এরপর তোয়াব খানের মরদেহবাহী কফিনটি জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়।
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তার সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল জি এম রাজীব আহমেদ তোয়াব খানের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তোয়াব খানের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নেয়া জাতীয় প্রেস ক্লাবে।
সেখানে দুপুর ১টার দিকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তার প্রথম জানাজা সকাল ১০টায় তার কর্মস্থল তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ক্লাবে জানাজায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তোয়াব খান বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অসামান্য অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলার সঙ্গে কাজ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেছেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন এবং পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
এদিকে প্রেস ক্লাব থেকে মরদেহ নেয়া হয় গুলশানে মরহুমের নিজ বাসভবনে।