লক্ষ্মীপুরে ভুয়া মামলার কাগজপত্র দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক প্রবাসীর কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলার রায়ে মনসুর আহম্মদ দুলাল নামে এক আইনজীবীকে ১৮ মাসের দণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
একই মামলায় আদালত মনসুর আহম্মদ দুলালের সহযোগী আনসার উল্যা চৌকিদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের সাজার রায় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ১, নুরশাত জামান এ রায় দেন। আদালতের পেশকার মো. সাইফুদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এটি ওই আইনজীবীর প্রথম অপরাধ বিবেচনায় রেখে প্রবেশনে প্রধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ঐ কারাদণ্ডাদেশ এবং জরিমানা পরবর্তী দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেন আদালত। প্রবেশন কালীন সময়ে তিনি গরিব ও অসহায়দের পক্ষে মামলায় লড়বেন। পাশাপাশি কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ভুক্তভোগীর হয়ে তাকে মামলায় লড়তে হবে।
মামলার বাদী নুর নবী মানবজমিনকে বলেন, আদালতে মামলা চলাকালীন তার পক্ষে কোনো আইনজীবী কাজ করেননি। তাই তিনি নিজেই মামলাটি পরিচালনা করেন। আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে এবং ওই মামলা থেকে তাদের পরিত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন।
পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত লক্ষ্মীপুর সদর থানাকে এফআইআর দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর সদর থানায় আইনজীবী মনছুর আহম্মেদ দুলাল ও চৌকিদার আনসার উল্যার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
প্রতারিত মামলার বাদী রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী মনছুর আহম্মদ দুলাল একই উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে। আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত আনসার উল্যা বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ঢালীর ছেলে ।