রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই আলোচনা চলছে প্রতিবেশি বেলারুশের অবস্থান নিয়ে। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হলেও দেশটি এখনও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণের কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া ও বেলারুশের সেনাদের যৌথ মোতায়েনের পর আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বেলারুশের দিকে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে। এতে তিনি এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বেল্টা জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দেখতে সম্প্রতি দেশটির ব্রেস্ট অঞ্চল সফর করেন লুকাশেঙ্কো। সেখান থেকে তিনি দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ধরণের কথাবার্তায় মনোযোগ দেবেন না। আজকে আমরা কোথাও যুদ্ধে যাচ্ছি না। আমাদের এখন যুদ্ধের প্রয়োজন নেই। তিনি দেশের মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
লুকাশেঙ্কো বলেন, যতক্ষন না আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি ততক্ষন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখুন। বক্তব্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দেন লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, এমন একটি যুদ্ধ সকলের জন্য মৃত্যু নিয়ে আসবে। তবে বর্তমান বিশ্ব যে কোনো সময়ের তুলনায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি রয়েছে বলেও সাবধান করেন তিনি।
গত সোমবার বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইটারে জানান যে, হাজার হাজার রাশিয়ার সেনা, ১৭০টি ট্যাংক, ১০০ কামান এবং ২০০ সশস্ত্র যান বেলারুশে মোতায়েন করা হচ্ছে। ন্যাটোর সেনারা বেলারুশ সীমান্তে সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে বেলারুশ অভিযোগ করে, কিয়েভ এখন তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। বেলারুশে রুশ সেনা প্রবেশের পর এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দূরত্ব অত্যন্ত কম। ফলে ওখান থেকে কিয়েভে আক্রমণ হতে পারে কিনা এমন আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।