রবিবার, মার্চ ২৩, ২০২৫

নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ, নিহত প্রায় আড়াইশ

Date:

ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে নতুন করে শুরু হয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এখানে গত মাসে প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইরান। তবে সেখানে আবারও নতুন করে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রদেশটির জাহেদান শহরে হাজারো মানুষ এখন ‘খামেনির মৃত্যু চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। এমন খবরই দিয়েছে আরব নিউজ।

খবরে জানানো হয়, গত ১৬ই সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল ইরান। এরপর এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ নতুন নতুন বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।

ইরানি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, জাহেদানে নতুন বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়লে পুলিশ কমপক্ষে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় আড়াইশ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে অন্তত ৩২ শিশু রয়েছে। এখনও আন্দোলন চলছে ইরানের ১১৪ শহর এবং ৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে।

 

তবুও আন্দোলনে ভাটা পড়ছে না। বিক্ষোভে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রোববার থেকে ইরানের শিক্ষকরা দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। শিক্ষকদের সংগঠন থেকে বলা হয়েছে, আমরা খুব ভাল করেই জানি যে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাদা পোশাকের অফিসাররা স্কুল এবং শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এই নিপীড়নের সময়, তারা নির্দয়ভাবে বহু ছাত্র ও শিশুর জীবন নিয়েছে। শাসকদের অবশ্যই জানা উচিত যে, ইরানের শিক্ষকরা এই নৃশংসতা ও অত্যাচারকে সহ্য করেন না। আমরা নিজেদের জনগণের জন্য ঘোষণা করছি। আপনারা যে গুলি ছুঁড়ছেন তা আমাদের জীবন এবং আত্মাকে ভেদ করছে। তার আরও বলেছে, জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার স্বীকৃত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে। তাদের দাবি, সমস্ত ছাত্রকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে এবং তারা স্কুলে ফিরে আসবে। সরকারের প্রতি তারা হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বুলেট দিয়ে জনগণের ন্যায্য দাবির জবাব দেয়া বন্ধ করুন।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের উপর ইরানের নৃশংস দমন-পীড়ন নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মধ্যেই দেশটির এক ধর্মগুরু আরও কঠিন হাতে বিক্ষোভ দমনের আহ্বান জানিয়েছেন। কট্টরপন্থী ইমাম আহমদ খাতামি তেহরানে শুক্রবারের এক খুতবায় বলেছেন, বিচারব্যবস্থার উচিত ‘দাঙ্গাবাজদের’ মোকাবিলা করা। যারা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং শত্রুর উদ্দেশ্য কায়েম করছে তারা যেনো আর দাঙ্গা করতে না পারে। তারা বাচ্চাদের প্রতারিত করেছে এবং তাদের বলেছে যে, তারা যদি এক সপ্তাহ রাস্তায় থাকে তবে এই শাসনের পতন হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Share post:

Popular

More like this
Related

হাতি হত্যায় ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতির মৃত্যুকে...

শাকিব খানের বিরুদ্ধে সমন জারি

মানহানির অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ১০০...

জ্যোতি ঝড়ে ৯ বছর পর শ্রীলঙ্কাকে হারালো বাংলাদেশ

শেষ ৮ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৮...

তীব্র কয়লা সঙ্কটে বড় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র, লোডশেডিং বাড়ার সম্ভাবনা

ডলারের অভাবে তীব্র কয়লা সঙ্কটে পড়েছে দেশের বড় দুটি...