কুমিল্লায় সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তৎপরতা চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। অবৈধ হাট-বাজার, বেপারোয়া গতি, পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো, আইন ভেঙে ইউটার্ন করা, নির্দেশনা না মেনে যানবাহন পরিচালনা, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করাসহ নানা অসতর্কতার কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব প্রতিবন্ধকতা কমাতে কুমিল্লাঅঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ নেতৃত্বে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরে কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ ছাব্বিশ হাজার যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০ হাজারনিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার আটক করে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে ১৮২টি কমিউনিটিপুলিশিং টিমের মাধ্যমে কাজ করছে ২ হাজার ৭৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক। ইতোমধ্যে টিম হাইওয়ে কুমিল্লার উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণবাজার ও বাসস্টপেজে মহাসড়কের মাঝখানে ফেন্সিং বসানো হয়েছে। যার ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। মহাসড়ক সংলগ্ন ২৮২টি ফিডার রোডের মাথায় সচেতনমূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণএলাকাগুলো চিহ্নিত করেই এসব সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। পরিবহণ খাতের চালক হেলপারদের নিয়ে ৩৬টি কর্মশালা পরিচালনা করে এক হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও পথচারী ও অন্যান্যদের নিয়ে ৫৬৭টি সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে ২লক্ষ লিফলেট বিতরণ করেছে যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালক-হেলপারদের মাঝে।
পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগ ছাড়াও মানবিকতা এবং আধুনিকতা দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। টিম হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের সব সদস্যকে মানবিক এবং পেশাদারিত্বের নির্দেশনা দিয়ে থাকি। জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সচেতন হলেই নিরাপদ সড়ক হবে।