টুর্নামেন্টের শুরুতে আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া শ্রীলঙ্কাই জিতে নিলো এশিয়া কাপটা। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে লঙ্কান বোলিং অ্যাটাক নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বলেছিলেন, ‘ওদের তো দু’জন বিশ্বমানের বোলারও নেই।’ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শ্রীলঙ্কা প্রমাণ করলো কাপ জিততে বিশ্বমানের বোলার লাগে না। লাগে দলীয় প্রচেষ্টা।
একেবারে অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক নিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে আসে শ্রীলঙ্কা। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার বলতে গেলে লেগস্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় বাঁহাতি পেসার দিলশান মদুশঙ্কের। ফাইনালে ৪ উইকেট নেয়া প্রমোদ মদুশানের এটি ছিল মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ। এছাড়া চামিকা করুণারত্নের তেমন একটা অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু চাপের মুহূর্তে কী অসাধারণ বোলিংই না করলেন তরুণ পেসাররা! স্পিনার মহেশ থিকসানাও খুব বেশি দিন হয়নি দলে এসেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি অভিষেক এই রহস্য স্পিনারের।
পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড দলের বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের ট্যালেন্টে আমার ভরসা ছিল। খুবই তরুণ একটা সিম অ্যাটাক নিয়ে এসেছিলাম। তাদের পারফর্ম করতে দেখাটা সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার। এই অর্জন একজনের নয়, পুরো টিমের প্রচেষ্টায় পাওয়া।’
পেসার চামিকা করুণারত্নে বলেন, ‘৭ বছর পর জিতলাম। আমরা একটা ভিন্ন দল। তারুণ্যে ভরপুর। খুবই ভালো লাগছে। আমরা লড়াই করে গিয়েছি এবং নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। খেলোয়াড়রা তাদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছ। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর সবাই তাদের সবটুকু নিংড়ে দিতে চেয়েছিল।’