২০২০ সালের শেষের দিকে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ জার্মানি নিজের ইন্দো-প্যাসিফিক গাইডলাইন পেপার তথা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অঞ্চলটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে। তখন বলা হচ্ছিল, আন্তর্জাতিক স্থিতাবস্থার জন্যই এটা জরুরি।
যেই কথা সেই কাজ। বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে এই মূহুর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এখন ঘোষণা দিয়েই নিজের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে জার্মানি। চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি এ অঞ্চলে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল জার্মানি ও ফ্রান্স। ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় ১৩টি সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে জার্মানি যা দেশটির বিমান বাহিনীর বৃহত্তম শান্তিকালীন স্থাপনা। আজ (শনিবার) জার্মান সংবাদমাধ্যমটির একটি প্রতিবেদনের শিরোনামঃ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে জার্মানির সামরিক বাহিনী।
সামনের দিনগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জার্মানির উপস্থিতি বাড়ছে মন্তব্য করে একইদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেছেন, গণতন্ত্র গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূত নিজের এমন মতামত তুলে ধরেছেন। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের একটি টুইট রিটুইট করেছেন আখিম ট্র্যোস্টার।
ওই টুইটে লেখা হয়েছিলঃ এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক জোটগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে দুই বছর আগে জার্মানি নিজের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করেছিল। এখন জার্মানি এই অঞ্চলটিতে নিজের সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে। “আমরা সমুদ্রপথের স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম রক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়েছি।”