খেলা শেষে বিষন্ন চেহারা নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় জশ লিটল এবং গ্রাহাম হিউমকে। দুই আইরিশ ব্যাটারের হা হুতাশের নেপথ্যে ১ রানের আক্ষেপ। এই রানের জন্যই যে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে তাদের। তাও আবার ৩৬০ রানের তাড়ায়!
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খোয়ানো আয়ারল্যান্ডের জন্য তৃতীয় ওয়ানডে ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সফরকারীদের লজ্জার হার দেয়ার মিশনে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিলের সেঞ্চুরি এবং হেনরি নিকোলসের ফিফটিতে ৩৬১ রানের টার্গেট দেয় কিউইরা। জবাবে পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টরের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৫৯-এ থামে আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাবলিনে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে শূন্য হাতে ফেরেন অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবিরনি। তিনে নাামা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২০ বলে ২৬ করে আউট হন। এরপর ১৭৯ রানের বিশাল জুটি গড়েন পল স্টার্লিং এবং হ্যারি টেক্টর। ওপেনার স্টার্লিং ১০৩ বলে ৫ ছক্কা ও ১৪ চারের মারে ১২০ রান করেন।
টেক্টরের সংগ্রহ ১০৬ বলে ১০৮ রান।
৪৯ ওভারে ৩৫০ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আইরিশদের প্রয়োজন ১০ রান। হাতে রয়েছে তিন উইকেট। প্রথম তিন বলে ৫ রান নেন গ্রাহাম হিউম এবং ক্রেইগ ইয়ং জুটি। বাকি তিন বলে প্রয়োজন ৫ রান। তবে চতুর্থ বলে ডাবল নিতে গিয়ে কাটা পড়ে ইয়ংয়ের উইকেট। এরপর জশ লিটল-হিউম জুটি ৩ রান নিতে সমর্থ্য হলে ১ রানের আক্ষেপে পোড়ে আয়ারল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ১০ ওভারে ৬৮ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ১ উইকেট পান ব্লেইয়ার টিকনার।
এর আগে টসে জিতে ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান তোলেন মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেন। ৭ বাউন্ডারিতে ৩৩ করে অ্যালেন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ রানে ফেরেন উইল ইয়ং। চতুর্থ উইকেট পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন গাপটিল। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৬ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ১১৫ রান করেন এই কিউই ওপেনার। এছাড়া হেনরি নিকোলস ৫৪ বলে ৭৯, গ্লেন ফিলিপস ৩০ বলে ৪৭, অধিনায়ক টম ল্যাথাম ২৬ বলে ৩০ রান করেন। শেষে মাইকেল ব্রেইসওয়েল ২১ এবং মিচেল স্যান্টনার ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আয়ারল্যান্ডের জশ লিটল ২ উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট পান ক্রেইগ ইয়ং, কার্টিস ক্যাম্ফার ও গ্যারেথ ডেলানি।
