শোক, শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় আজ জাপানবাসী চিরবিদায় জানাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’কে। কয়েক দশক তিনি জাপানের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে ছিলেন। সবচেয়ে দীর্ঘদিন পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু গত সপ্তাহে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাকে আর পৃথিবীর আলো দেখতে দিল না নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ইয়ামাগামি তেতসুইয়া। আজ শিনজো আবে’কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে টোকিওর মধ্যাঞ্চলে জোজোজি টেম্বলের বাইরে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন অসংখ্য মানুষ। এই উপাসনালয়েই সকালে শিনজো আবে’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। দুপুর একটায় পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের জন্য সময় উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
তীব্র গরম। গণগণে সূর্য্য চোখ রাঙাচ্ছে। তার মধ্যে ঘেমে ভিজে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ সমবেত হয়েছেন তাদের ভালবাসার শিনজো আবে’কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, জাপানে এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। এ জন্য তার প্রতি ‘শত্রুর’ও ভালবাসা উপচে পড়ছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তার দেহাবশেষ টোকিওর ডাউনটাউনের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। জাপানি পতাকায় ঢাকা থাকবে তা। তার ওপর শোকের প্রতীক কালো ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখা হবে।
শহরের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র নাগাতাচো’তে হবে এই র্যালি। এখানেই পার্লামেন্ট ভবন। এই পার্লামেন্টেই প্রথম ১৯৯৩ সালে যুবক শিনজো আবে এমপি হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন। সেখান থেকেই ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে পরিচালিত করেছেন।
তার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব নেতারা। এর মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøনকেন। শিনজো আবে’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিডিউল ছাড়াই তিনি সোমবার সকালে জাপানে যাত্রাবিরতি করেন। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।