গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ ডিগি, আজ মুঠোফোনের মনিটরে তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘহীন আকাশ। রোদের দিকে খালি চোখে তাকানো যায় না। রাস্তায় বের হলে মনে হয় জ্বলন্ত উনুনের মধ্যে প্রবেশ করা হয়েছে। এমনি তাপদাহে পুড়ছে শেরপুর জেলা।
বুধবার দুপুরের চিত্রে দেখা যায়, গ্রামের বাঁশঝাড়ের নিচেও মানুষ হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে বাধ্য হচ্ছে। রোদের দিকে তাকানো সম্ভব হচ্ছে না। নীল আকাশ যেনো রোদে ঝলসে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট খাখা করছে। রোদে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। গ্রামের বাজারের চায়ের দোকানগুলোও শূন্য। চায়ের দোকানে মানুষ চা খাওয়া বাদ দিয়ে পানি খাচ্ছে।
কদিন ধরেই প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে সারা জেলা জুড়ে। তবে আজকের গরম সকল মাত্রা ছাড়িয়েছে। ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। ফলে ঈদের ছুটি শেষে অফিস আদালত খুললেও কাজকাম হয়নি তেমন। দোকানপাট খুললেও সবই ফাঁকা।
গরমে মানুষের জান যায়, এরমধ্যে বাজারে আসবে কে? জানতে চাইলেই এমন উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন দোকানিরা।
মানুষ জানাচ্ছেন, গরমে কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূলত পুরো জেলার কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহে। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা। পানিশূন্যতার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। তারা বেশি করে পানি পান করার কথা বলেছেন তাপ প্রবাহ চলাকালীন।