শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা এলাকায় প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন প্রেমিকা। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন বাবা। সোমবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগী আক্তার (২২) নকলা হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। প্রেমিক আরিফুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, নিহত সোহাগীর সাথে মোবাইল ফোনের কথোপকথনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার আরিফুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটে। রবিবার রাতে আরিফুল নকলায় আসে এবং রাত কাটায় সোহাগীদের রান্না ঘরে। ভোরে সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম শোবার ঘরের দরোজা খুলে বের হলে আরিফুল ছুরি নিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। বাবার চিৎকারে সোহাগী এগিয়ে এলেও তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে আরিফুল।
সোহাগী ও তার বাবার চিৎকারে এ সময় আশেপাশের লোকজন এসে আরিফুল কে আটক করে। বাবা ও মেয়েকে আহত অবস্থায় নকলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেবার পর ডাক্তাররা সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। সোাহাগীর পিতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।