মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সারাদেশে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি ৪০ টাকা খরচ পড়ে। জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে করে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হবে। আমরা
খুব অর্গাইজড ওয়েতে ১ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করবো, এক সপ্তাহ এভাবে দেখা হবে। এরপর যদি যথেষ্ট না হয় তাহলে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে যাওয়া হবে। উন্নত অনেক দেশ রেশনিংয়ে গেছে। আমরা নিজেরা যদি সাশ্রয়ী হই ট্রান্সপোর্ট যদি কম ব্যবহার করি তাহলে অনেক সাশ্রয় হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহে শিল্প এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা ২৩ শ এমএমসিএফ গ্যাস লোকাল ফিল্ড থেকে পাচ্ছি। বিদেশ থেকে ৮’শ আমদানি করা হচ্ছে এরমধ্যে
স্পর্ট মার্কেট ৩শ এমএমসিএফ। এখানে সরকার ভর্তুকি দিতো। দাম বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকি বেড়ে যাচ্ছে মারাত্বকভাবে। আমরা বর্তমান প্রাইসে স্পর্ট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনবো না।
তিনি বলেন, ডিজেল ১০ শতাংশ বিদ্যুতে, অন্যান্য খাত থেকে যদি ১০ শতাংশ কমানো যায়, তাহলে ভালো একটি অবস্থানে যেতে পারবো। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। আমরা আশা রাখছি উপাসানলয়ে এসি ব্যবহার কমানো, সরকারি অফিসে এসির ব্যবহার কমানো, সিঙ্গেল কার কম ব্যবহার করা।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে সার্বিক জ্বালানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে। বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দুই দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
এছাড়া রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের বৈঠক ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।