গত দুদিনের প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার শহরের পূর্ব পাশের মহারশীর নদীর বাঁধের কয়েক জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। ফলে ঢলের পানি উপজেলা শহরসহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত করে।
এদিকে প্রচণ্ড বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢলের পানিতে উপজেলা সদরসহ, গৌরিপুর, ধানশালই, মালিঝিকান্দাসহ অন্তত ৪টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কদিন আগেই পাহাড়ি ঢলের ফলে নিম্নাঞ্চলের বিলগুলো ভরাট ছিলো পুনরায় ঢলের পানি আসায় গ্রামগুলি এবার নতুনকরে বেশি প্লাবিত হয়েছে।
ঢলের পানি সাধারণত উঁচু স্থান থেকে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে নেমে যায়। কিন্তু নিম্নাঞ্চলের বিল ও জলাশয়গুলো পূর্বের ঢলের পানিতে ভরা থাকার জন্য পানি নামতে এবার দেরি হচ্ছে।
এবারের ঢলের পানিতে গ্রামগুলির উঁচু জায়গাতেও পানি উঠেছে। মানুষেরা সকাল থেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এসব গ্রামের মাছের ঘেরগুলো ভেসে গেছে। বেশ কিছু মুরগির খামাওে পানি উঠায় অনেক মুরগি মারা গেছে। সব্জি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো ধানের বীজতলা তৈরি কাজ শুরু না হওয়ায় বীজতলার ক্ষতি হয়নি।
এ ব্যাপাওে ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানিয়েছেন, প্রচণ্ড বর্ষণের কারণে সব জায়গার অবস্থা দেখা ও জানা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে এবারের পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে সময় লাগবে। আর সময় লাগবে ক্ষতির সম্ভাবনাও বাড়বে। এখন পর্যন্ত আমরা ক্ষতি নিরুপন করতে পারিনি। তবে আমাদের কাজ চলছে।