শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী কয়েকটি গ্রাম বৃহস্পতিবার আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়। ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরেও ঢলের পানি উঠে। এসব পানি বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যেই নেমে যায়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গ্রামগুলির নিম্নাঞ্চলে পানি থাকলেও তা নামতে শুরু করেছে।
এদিকে ঢলের পানি পরিদর্শনে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শাহজাহান মিয়া জানান, গত বুধবার ভারতে মেঘালয়ে প্রায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অতিবৃষ্টির কারণেই মেঘালয় থেকে নেমে আসা নদীগুলিতে পানি বৃদ্ধি পায় এবং ঢলের সৃষ্টি হয়। তবে এসব ঢল আকস্মিক এবং দ্রুতই এর পানি নেমে যায়।
এই প্রকৌশলী আরো জানান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশির নদী তুলনামূলক চাপা হওয়ায় পানির চাপ ধরে রাখতে পারে না। আর এর জন্যই প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক প্লাবনের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ জানান, উঁচুস্থানগুলি থেকে গতকালই পানি নেমে গিয়েছে। এখন কোনো ধানের আবাদ না থাকায় ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কিছু সব্জি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার গতকালই তাৎক্ষণিক কিছু সাহায্য দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্তদের। আমরা প্রকৃত ক্ষতি নির্ণয়ের চেষ্টা করছি।