বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চল আগামীকাল সোমবার থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে একটি ‘বিশেষ আম ট্রেন’ চালু করবে।
আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজ রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আম উৎপাদনকারী এলাকা থেকে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ঢাকায় আম পরিবহনের জন্য সোমবার থেকে ট্রেন চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা এবং রাজশাহী স্টেশন থেকে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে রাত ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
কার্গো ট্রেনটি প্রতিদিন আটটি ওয়াগনে সর্বোচ্চ আম বহন করবে। সুতরাং, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত পণ্য পরিবহন করতে পারেন। রাজশাহী থেকে ঢাকায় এক কেজি আম বহন করতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় ১ টাকা ৩০ পয়সা।
অসীম তালুকদার স্পষ্ট করে বলেন, বিশেষ ট্রেনে আম পরিবহনে প্রতি টন খরচ পড়বে ১১১৭ টাকা। কুরিয়ার সার্ভিসের দাম প্রতি টন ২০০০০ টাকা এবং প্রাইভেট ট্রাকে পরিবহন খরচ প্রতি টন প্রায় ২০০০ টাকা।
রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রেলপথের ১১টি স্টেশনে আম বোঝাই করার জন্য ট্রেনটি থামবে। পার্সেল বুকিং এবং আনলোডিং এর উপর ভিত্তি করে পার্সেল ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনে স্টপেজ থাকতে পারে।
আম ছাড়াও বিশেষ ট্রেনে কম খরচে সব ধরনের শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ডিম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বহনের ব্যবস্থা রয়েছে। রেলওয়ের পোর্টাররা পণ্য লোড-আনলোডের সব ধরনের কাজ পরিচালনা করবে।
এই লক্ষ্যে, পোর্টারদের পণ্যগুলো বুকিং থেকে লোড করার পাশাপাশি সঠিকভাবে কি করে আনলোড করা যায় সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গত ২০২০ সালে, চাষীদের পরিবহন সমস্যার প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো আম স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৬,১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে যেখানে এ বছর ২,৪৪,০০০ টন আমের ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলায় ১২,৬৭১ হেক্টর জমিতে আমের বাগান থেকে ১,৬১,২৪২ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং নাটোর জেলায় ৪,৮২৩ হেক্টর জমিতে ৫৬,০২১ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।