শেরপুরে যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই রায় দেন। এ সময় আসামী ফুরকান আলী অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ফুরকান আলীর বাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি গ্রামে। যৌতুকে দাবিতে সে তার স্ত্রী জহুরা বেগমকে হত্যা করে।
সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম কিবরিয়া জানান, খুনের ঘটনাটি ২০১১ সালের ২ জুলাই এর। সেদিন রাতে স্ত্রী জহুরা বেগমের সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ের মারধর ও শ^াসরোধ করে তাকে হত্যা করে ফুরকান আলী। হত্যার পর জহুরার মরদেহ ঘরের সিলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ফুরকান পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত জহুরা বেগমের বড় ভাই ফজুলল হক ফুরকান, ফুরকানের বাবা-মাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক ফুরকান আলী’র মৃতুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন এবং অপর ৩ জনকে খালাস প্রদান করেন। পলাতক ফুরকানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায়, তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।