নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন, রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন (৪০), তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), বড় ছেলে মোহাম্মদ রুমান (১৭) ও ছোট ছেলে রুহান (৯)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, রোজিনার শরীরের ২৪ শতাংশ, আনোয়ারের ১৭ শতাংশ ও রোহানের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। রুমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দগ্ধ আনোয়ার হোসেন জানান, আমি রিকশাচালক। সকালে উঠে ফ্রিজ থেকে সেমাই বের করে খাওয়ার সময় জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ একটি শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে ডাকতে ডাকতেই পুরা রুমে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাই দগ্ধ হয়েছি।
ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ফিসার আলম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পেছনে গ্যাস লাইনের রাইজারের লিকেজ থেকে ভোর পাঁচটায় আগুন লেগে বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বাড়ির মালিক কাউছার আহমেদ বলেন, সকালের দিকে আনোয়ার সিগারেট খেয়ে সিগারেটের বাকি অংশ ফেলে দিলে, তা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।