ঈদের আগে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে জয়দেবপুর থেকে অ্যালেঙ্গা হয়ে হাটিকুমরুল পর্যন্ত তিনটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে।
সোমবার থেকে জয়দেবপুর মোড় থেকে অ্যালেঙ্গা মোড় পর্যন্ত নওজোর, সফিপুর ও গোড়াই এলাকায় নির্মাণাধীন এ তিন ফ্লাইওভারে যান চলাচল শুরু হবে।
এর পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের নলকাতে আরেকটি সেতুর এক পাশ যান চলাচলের জন্য সোমবার খুলে দেওয়া হবে
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। এদিন প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রথম দফার চেক হস্তান্তর হয়।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল আমি ব্যক্তিগতভাবে এগুলো পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। এই তিনটি ফ্লাইওভার চালু হলে যানজট সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সচিব বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে অ্যালেঙ্গা হাটিকুমরুল- এই করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে। বিআরটি করিডোরে মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে আমরা রাস্তাটা চলাচল যোগ্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কাজ সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে হলে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
সচিব বলেন, নওজোর, সফিপুর ও গড়াই এই তিনটি ফ্লাইওভার আমরা কালকের মধ্যে খুলে দিচ্ছি। এই তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
সড়ক সচিব বলেন, অ্যালেঙ্গা মোড়ে ইন্টারসেকশনগুলো চাওড়া করে দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যে গাড়িগুলো আসবে এদিকে তারাকান্দা, মধুপুর, ঘাটাইল দিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহে যাওয়ার একটা রাস্তা আছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, ময়মনসিংহ-জামালপুরের গাড়িগুলো সেদিক দিয়ে ডাইভার্ট করার একটা অপশন আমরা রেখেছি।
সিরাজগঞ্জের নলকায় আরেকটি সেতু সোমবার খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখে আমাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম আছে, সেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাও বসাচ্ছি। আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করবো। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি রয়েছে।