স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের নকলায় ত্রিশ বছর যাবৎ চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরোদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বারারচর পূর্বপাড়ায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৮টি পরিবারের ৫০জন সদস্য ঘর বন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বারারচর এলাকার মৃত হাসমত আলী হাসুর পুত্র আ: রাজ্জাকগংরা নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে রাস্তা তৈরি করে প্রোয় ৩০ বছর যাবৎ চলাচল করিয়ে আসতেছিল। হঠাৎ করে পারিবারিক শত্রুতার জেরে প্রতিবেশি মেহেদি হাসান তরুন, বখতিয়ারা রানা, জুলফিকার আলী, রজিন বিন মোবারক ও আরিফুর রহমানরা তাদের চলাচলের রাস্তায় ঘর উঠাইয়া ও সিমেন্টের ও বাশেঁর খুটি দিয়ে চেগার দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এতে আ: রাজ্জাকগংরা ঘর বন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানাযায়।
খুদেজা বেগম, সাগর ও হাসিবুল হাসান বলেন, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের চলাচলের খুবই অসুবিদা হইতেছে। গরু বাছুরও বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে পারি না। বন্দি জীবন যাবপ করতেছি। নারায়নখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির ছাত্রী তাসমি আক্তার বিশ্বমনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আমি স্কুলে যেতে পারি না। গাছের চিপা ও পুকুর পাড়ের পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় কয়েকদিন পড়ে শরীরে ব্যাথা পেয়েছি। আ: রাজ্জাক বলেন, নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে রাস্তা তৈরি করে এখন নিজেরাই যেতে পারি না। কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও ডাক্তারের কাছে নেওয়া যায় না। শুধু তাই না এখন যদি কেউ মারা যায় তার লাশটাও বের করা যাবে না।
রজিন বিন মোবারক বলেন, আমরা আমাদের ক্রয় করা জমিতে ঘর তুলেছি এবং বাশেঁর চেগার দিয়েছি। কারো জায়গা দখল করিনি। তারা আমাদের উপরে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। মেহেদী হাসান তরুন বলেন, নিজের জায়গাতে ঘর তোলা কোন অপরাধ না। তারা এতদিন জোর করে আমাদের জমি দিয়ে চলাচল করত। এখন আমাদের ভাইদের জমি বন্টন হচ্ছে। তাই রাস্তাটি বন্ধ করে ঘর তুলেছি।
পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালিশীর মাধ্যমে সমাধান করে দিতে চেয়েছিলাম। কিšুÍ মেহেদি হাসান তরুনগংরা আমাকে না জানিয়ে মামলা করেছেন। আমিও এর সমাধান চাই।