ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা বন্ধ করে বিল্ডিং নির্মানের অভিযোগের তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) জয়নাল আবেদীন ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর সাক্ষ প্রমানাদি গ্রহন করেন।অভিযোগে প্রকাশ,২০০৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
ভবন নির্মাণের পূর্বে ১৯৯৬ সালে পরিষদে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক ৪ শতাংশ ও ফুলু মিয়াও তার পরিবার ২শতাংশ জমি দান করেন, জানা যায়,আব্দুর রাজ্জাকের জামির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হলে ও ওই জমির সামনে ফুলু মিয়ার ২ শতাংশ জমি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা নির্মান করতে না দিয়ে ওই স্থানে তারা বিল্ডিং নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকান্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেবা দানকারী সেবা গ্রহিতাদের। এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত নির্দেশ বলে ২৩সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) জয়নাল আবেদীন তদন্তে আসেন। এসময় উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির সন্মুখে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা নিমার্ণের দাবি জানান, হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আয়শা সিদ্দিকা রুপালী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ফছিউর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, হযরত আলী, জয়নাল আবেদিন ও আলমগীর হোসেন মাষ্টারসহ এলাকার শতশত মানুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, জমি দাতারা ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।