মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরোর ঝিনাইগাতীর উত্তর বাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মার্কেট জবরদখলের চেষ্টা ও লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় উপজেলার ঝিনাইগাতী বাজারের রামেরকুড়া গ্রামের জামুদ আলীর পুত্র শাহ আলম (৫০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনেন একটি দল সন্ত্রাসী কায়দায় রামদা লাঠি-সোঠা ও ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে প্রথমে মাকের্টটি দখলে নেয়।
পরে পাশের দোকানের বিদ্যুতের লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে মার্কেটের শাটারের সবগুলো তালা কেটে অন্তত ৩টি দোকানে লুটতারাজ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুটতারাজ করে বলে মালিক পক্ষের অভিযোগ। উক্ত মার্কেটের মালিক মো. শাহজাহান (দুলু), হাবিবুর রহমান হাবি এবং মার্কেটের অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা জানান, এই মার্কেটে গত কিছুদিন যাবৎ ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে। আপরদিকে মার্কেটের মালিক পক্ষ হাবিবুর রহমান হাবি এবং শাহ আলম গংদের মাঝে রামেরকুড়া মৌজায় ১০২,৫১ ও ৫২ খতিয়ানে ১৩১ ও ১৩০ নং-দাগে মোট ৩০ শতাংশ জমিকে কেন্দ্র করে শাহ আলম গংদের বিরুদ্ধে শেরপুর সহকারী জজ আদালতে ২৪/১৩ নং অন্য প্রকার একটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করে।
এ মামলায় আদালতে মো. হাবিবুর রহমান হাবির পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে শাহ আলম বাদী হয়ে জজ কোর্টে উক্ত মামলার বিরুদ্ধে ৫৯/১৫ নং একটি আপিল মামলা করেন। এতে জজ কোর্ট পূর্বের রায় বহাল রেখে ২৪/১৩ নং মামলার পক্ষে রায় প্রদান করেন। চিরস্থায়ীর নিষেধাজ্ঞার রায় পেয়ে জমির মালিক ভাই ভাই মার্কেট নামে ৬ রুম বিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মাণ করে মালিক পক্ষ নিজেরা ও কতিপয় ভাড়াটিয়া ওই মার্কেটে ব্যবসা করে আসছিল। ৭ সেপ্টেম্বর বিদাগত রাত্রি ৩ ঘটিকার সময় শাহ আলম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে তিনটি রুমের শাটারের তালা কেটে মার্কেটের মালিক শাহজাহান (দুলু) ও হাবিবুর রহমান হাবি এবং দোকানের ভাড়াটিয়া এরশাদ মো. রাকিবের দোকানে লুটতরাজ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ভ্যাটেনারী ঔষধপত্র ও মোটরসাইকেল অটোরিক্সা সিএনজির খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানের মালামাল লুটপাট করে নেয় ও মার্কেট জবরদখলের চেষ্টা করে। এসময় মার্কেটের মালিক পক্ষ ৯৯৯ এ কল করে। পরবর্তীতে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং শাহ লম গংদের উক্ত মাকের্ট থেকে বের করে দেন। বিষয়ে মালিক পক্ষ মো. শাহজাহান (দুলু) বাদী হয়ে শাহ আলমসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাবাসী জানায় পরবর্তীতে শাহ আলম গংরা নিজেরা বাঁচতে নিজ বাড়ীতে নিজেরাই রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাড়ী পোড়ার মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করে। এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, মার্কেটের মালিক পক্ষদের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে শাহ আলম গংরা মালিক পক্ষ মো. শাহজাহান (দুলু) পরিবারের নামে অগ্নি সংযোগ বিষয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।