সেনাবাহিনীতে ১০ বছর চাকরি করার পরেও প্রিন্স হ্যারিকে তার পিতা রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের দিন সামরিক ইউনিফর্ম পরার অনুমতি দেওয়া হলো না। সাসেক্সের ডিউক হ্যারি ৬ মে শনিবার রাজা চার্লস এবং রানী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তার স্ত্রী মেঘান মার্কেল তাদের দুই সন্তান প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকবেন। অনুমান করা হয়েছিলো অনুষ্ঠানের দিন হ্যারি, যিনি ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে দুটি সামরিক সফরে অংশ নিয়েছিলেন রাজকীয় প্রটোকল অনুসারে তিনি সামরিক স্যুট পরে রাজ্যাভিষেকের দিন উপস্থিত হবেন। কিন্তু রাজপরিবারের সদস্য ছাড়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সামরিক ইউনিফর্ম পরার অনুমতি নেই। হ্যারি এবং মেগান ২০২০ সালের জানুয়ারীতে রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য হিসাবে তাদের ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পরে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন।
এই সিদ্ধান্তের পরে, হ্যারির থেকে তার সম্মানসূচক সামরিক খেতাব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। একইভাবে রাজপরিবারের সদস্যপদ ত্যাগ করার জন্য গত সেপ্টেম্বরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় হ্যারিকে তার সামরিক ইউনিফর্ম পরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে রাজা তৃতীয় চার্লসের অনুরোধে হ্যারিকে শেষ পর্যন্ত তার ইউনিফর্ম পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রাজা প্রয়াত রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় তার কনিষ্ঠ পুত্রকে সামরিক ইউনিফর্ম পরার অনুমতি দিয়েছিলেন।
প্রিন্স হ্যারিও তার বাবার রাজ্যাভিষেকের জন্য পোশাকের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট অনুরোধ করেননি। পরিবর্তে “তাকে যা বলা হবে তা পরিধান করতে ইচ্ছুক ছিলেন।” রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে বেশ কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। ১৯৫৩ সালে রানীর রাজ্যাভিষেকের সময় উপস্থিত ৮,০০০ অতিথির তুলনায় এবার ২,০০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে যে অনুষ্ঠানটি প্রয়াত রানীর অনুষ্ঠানের চেয়েও অনেক ছোট হবে, যা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল। এছাড়াও সদস্যদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পোষাক কোড রাখা হয়েছে, সম্ভবত সমবয়সীদের লাউঞ্জ স্যুট বা মর্নিং স্যুট পরতে দেওয়া হবে লাল রঙের মখমল দিয়ে তৈরি আনুষ্ঠানিক পোশাকের পরিবর্তে। রাজাকেও ঐতিহ্যগত পোশাকের পরিবর্তে তার সামরিক ইউনিফর্ম বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রিন্স হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামও তাদের বাবার রাজ্যাভিষেকের জন্য তার সামরিক ইউনিফর্ম পরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট