পাঠ্যবইয়ে নকলের দায় স্বীকার করেছেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল ও ড. হাসিনা খান। তারা বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য। নতুন কারিকুলামে শুরু হওয়া সপ্তম শ্রেণির ‘বিজ্ঞান, অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটির বিভিন্ন অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইট থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন এ দুই লেখক। গতকালও মানবজমিনকে অভিযোগটি সত্য বলে দায় স্বীকার করেছিলেন ড. জাফর ইকবাল। এ বইয়ের রচয়িতার সঙ্গে সঙ্গে সম্পাদনারও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অভিযোগটি নজরে এসেছে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে এ দুই রচয়িতা বলেন, এই বইয়ের কোনো কোনো অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাঁদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সব লেখকের কাছ থেকেই একধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়।