বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লিখিয়েছেন সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করেছেন। খুব বেশি দিন হয়নি লিজ ট্রাসের কাছে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে হেরেছেন সুনাক। তবে ট্রাসের আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণায় আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হাতে এলো তার। এবার তার সঙ্গে আছে বেশিরভাগ এমপির সমর্থনও। ধারণা করা হচ্ছে, এই দৌড়ে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লড়াইয়ে নিজেকে শামিল করতে বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে শনিবার দেশে ফিরেছেন বরিস। যদিও তিনি এখনও লড়াইয়ে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে সুনাক বলেন, তিনি দেশের অর্থনীতি ঠিক করতে চান, কনজারভেটিভ দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চান এবং দেশের সেবা করতে চান। তার পেছনে এখন আছে ১২৬ এমপির সমর্থন।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে সুনাক বলেন, এখন আমাদের দলই নির্ধারণ করবে বৃটিশদের আগামী প্রজন্মের কাছে কেমন সুযোগ থাকবে। এ কারণেই আমি এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হতে দাঁড়িয়েছি। এর আগে আমি চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং কঠিনতম সময়ে অর্থনীতির হাল ধরেছি। এখন আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে তা আরও বড়। কিন্তু এই সংকট সমাধানের সুযোগও আছে প্রচুর।
এদিকে সুনাক ও জনসন ছাড়াও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট। তিনি শুক্রবারই নিজের প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় একজন যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে হবে। ২০১৯ সালে বৃটেনের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন মরডান্ট। জনসনের পদত্যাগের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হলেও বাছাইয়ে হেরে যান। পরে ট্রাসকে সমর্থন দেন। সরকার গঠনের পর ট্রাস তাকে হাউস অব কমন্সের নেতা এবং প্রিভি কাউন্সিলের লর্ড প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় যখন বৃটেনের পার্লামেন্ট উত্তাল, তখন ট্রাসের সমর্থনে জোরালো বক্তব্য দিয়ে নজর কেড়েছিলেন মরডান্ট।












