গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাজেভাবে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। শনিবার ৫ বল হাতে রেখেই আফগানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে তার মধুর প্রতিশোধ নিলো দলটি।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছিলো আফগানিস্তান। রান তাড়ায় নেমে ফজলহক ফারুকীর করা ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান পাথুম নিশাঙ্কা। ৬.২ ওভারে ওপেনিং জুটিতে চলে আসে ৬২ রান। ১৯ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করা কুশল মেন্ডিস নাভিন উল হকের শিকার হলে এই জুটির অবসান হয়। পাথুম নিশাঙ্কা ফেরেন ২৮ বলে ৩৫ করে। উইকেট পতন হতে থাকলেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা আক্রমণ মানিসকতা থেকে একচুলও সরে দাঁড়াননি। প্রায় সবাই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন।
রশিদ খানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে দানুশকা গুনাথিলাকা করেন ২০ বলে ৩৩ রান। ভানুকা রাজাপাক্ষের ১৪ বলে ৩১ রানের গুরুত্ব অপরিসীম। হাসরাঙ্গার বিধ্বংসী ব্যাটে ১৯তম ওভারেই স্কোর সমান হয়ে যান।
শেষ ওভারে দরকার পড়ে মাত্র ১ রানের। ফজল হক ফারুকীর করা শেষ ওভারের প্রথম বলটিই সীমানাছাড়া করে দলকে ৪ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন হাসারাঙ্গা। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৬* রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ৪৬ রানের ভালো ওপেনিং জুটি উপহার দেন হজরতুল্লাহ জাজাই এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পঞ্চম ওভারে ১৬ বলে ১৩ রান করা জাজাই বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। শিকারী দিলশান মাদুশাঙ্কা। মাত্র ২২ বলে ফিফটি পূরণ করেন রহমানুল্লাহ। দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জারদানের সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে। ১৩তম ওভারে তিন অংক স্পর্শ করে আফগানদের স্কোর। ৪৫ বলে ৮৪ রান করে আসিথা ফার্নান্দোকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রহমানুল্লাহ ধরা পড়েন হাসারাঙ্গার হাতে। তার ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর ৬টি ছক্কার মার। এর সাথে অবসান হয় ৬৪ বলে ৯৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটির। ১০ বলে ১৭ করা নাজিবুল্লাহ জারদান রান-আউট হয়ে যান। ১৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মহিশ থিকশানা। চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন ৪০ রান করা (৩৮ বল) ইব্রাহিম জারদানকে। পরের বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি (১)। শেষ ওভারের শেষ বলে আফগানদের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে রশিদ খানের (৯) রান-আউটে। ২০ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৫ রান।
২টি উইকেট নিয়েছেন মাদুশাঙ্কা। ১টি করে নিয়েছেন মহিশ থিকশানা এবং আসিথা ফার্নান্দো