বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে ছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। হৃদরোগের কারণে পুনরায় ফুটবলে ফেরার সম্ভাবনা ছিল শূন্যে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইন্টার মিলান তার চুক্তি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়। সেই এরিকসেন ফিরেছেন, ক্লাব ফুটবল কিংবা আন্তর্জাতিক অঙ্গন- সবখানেই লড়ছেন পুরনো গতিতে। এবার ডেনিশ মিডফিল্ডারকে ভেড়ালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সম্প্রতি ব্রেন্টফোর্ডের জার্সিতে ক্লাব ফুটবলে ফেরেন এরিকসেন। স্বল্প মেয়াদী চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুনে। এবার ফ্রি এজেন্ট হয়ে তিন বছরের জন্য এরিক টেন হাগের দলে যোগ দিলেন তিনি। ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে উচ্ছ্বসিত এরিকসেন। শুক্রবার ম্যানইউর ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একটি বিশেষ ক্লাব এবং দলটির হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি আমি। বহুবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
এবার ইউনাইটেডের লাল জার্সিতে খেলাটা অসাধারণ হবে।’
ম্যানইউর নতুন কোচ টেন হাগের প্রশংসা করে এরিকসেন বলেন, ‘আয়াক্সে তিনি কীভাবে দলকে পরিচালনা করতেন তা নিচের চোখে দেখেছি। সেখানে (টেন হাগের অধীনে) সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক ছিল। তিনি একজন অসাধারণ কোচ। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তার পরিকল্পনা জেনেছি। সবমিলিয়ে আমি উত্তেজিত।’
গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলাচলকালীন মাঠেই অজ্ঞান হয়ে যান এরিকসেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় মাঠেই চলে ডেনিশ তারকার প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপর দীর্ঘ ৭ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) স্থাপন করা হয় এরিকসেনের শরীরে। এই ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে। তবুও দমেননি এরিকসেন। তিনি বলেন, ‘এখনও আমি অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন সত্যি করার মতো সামর্থ্য রয়েছে আমার। ম্যানইউ আরো বড় লক্ষ্যে পৌঁছানোর মঞ্চ।’
গত জানুয়ারিতে ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দিয়ে প্রিমিয়ার লীগে ১১টি ম্যাচ খেলেন এরিকসেন। নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি চারটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন এই ডেনিশ মিডফিল্ডার।