আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে, কুমিল্লার ভোট তা সঠিক প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, কালকের নির্বাচন তো আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, দ্বিতীয়বার আমি বলতে চাই না। এটা আমরা বহু আগে থেকেই জানি যে হবে। যে কারণে বলে দিয়েছি, আমরা কোনো নির্বাচনেই যাচ্ছি না। খুব পরিষ্কার করে বলেছি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলাচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ পালনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দু্টি অংশের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে যে, সেটা তাদেরকে আরো বৈধতা খুব পরিষ্কার করে দিলেন। এটা এখন প্রমাণিত সত্য।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল করে, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পেতে পারেন না, এটা বাস্তবতা। আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে মানুষের ভিন্নমত সহ্য করবার কোনো কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাসিত, আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, সংবাপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছে। আর বিএনপি সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছে, বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে।
আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি এ্ম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, কায়কোবাদ মিলন, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন ও শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি উপস্থিত ছিলেন।